অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Abhishek Suggestion

4589
অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Abhishek Suggestion
অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Abhishek Suggestion
Contents hide
3 অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Abhishek Suggestion | West Bengal Class 10 Abhishek

অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Abhishek Suggestion : নমস্কার, বন্ধুরা আজকের আলোচ্য বিষয় অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Abhishek Suggestion নিচে দেওয়া হলো। এই অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক বাংলা – Madhyamik Bengali Abhishek Suggestion থেকে MCQ, SAQ, Description Question and Answer, Suggestion, Notes গুলি আগামী মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।

 আপনার যারা অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা – West Bengal WBBSE Madhyamik Class 10 Bengali Abhishek Suggestion খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারেন।

BOARDWBBSE
CLASSMadhyamik (Class 10)
SUBJECTMadhyamik Bengali
CHAPTERঅভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত)

১. ‘ নমি পুত্র পিতার চরণে ‘ – এখানে পুত্ৰ হ’ল – 

(ক) মেঘনাদ , 

(খ) বীরবাহু ,

(গ) কুম্ভকৰ্ণ , 

(ঘ) বিভীষণ ।

উত্তরঃ (ক) মেঘনাদ ; 

২. “ হেথা আমি বামাদল মাঝে ? ” – ” বামা ‘ শব্দের অর্থ – 

(ক) বান্ধবী , 

(খ) নারী , 

(গ) রাক্ষসী , 

(ঘ) দেবী ।

উত্তরঃ (খ) নারী ; 

৩. “ উত্তরিলা বীরদর্পে অসুরারি – রিপু ” ” অসুরারি – রিপু ‘ হল – 

(ক) ইন্দ্ৰ , 

(গ) ইন্দ্ৰজিৎ 

(খ) বীরবাহু , 

(ঘ) রাবণ । 

উত্তরঃ (গ) ইন্দ্রজিৎ ; 

৪ ‘ অভিষেক ‘ শীর্ষক কাব্যাংশটি ‘ মেঘনাদবধ কাব্য ‘ – এর যে সর্গ থেকে নেওয়া হয়েছে – 

(ক) প্রথম সর্গ ,

(খ) দ্বিতীয় সর্গ ,

(গ) তৃতীয় সর্গ , 

(ঘ) চতুর্থ সর্গ ।

উত্তরঃ (ক) প্রথম সর্গ ; 

৫. “ কনক – আসন ত্যজি , বীরেন্দ্রকেশরী ‘ – বীরেন্দ্রকেশরী ‘ কাকে বলা হয়েছে ? 

(ক) রাবণকে , 

(খ) রাঘবকে , 

(গ) ইন্দ্রজিৎকে , 

(ঘ) কুম্ভকর্ণকে । 

উত্তরঃ (গ) ইন্দ্রজিৎকে 

৬. ” নিকুম্ভিলা যজ্ঞ সাঙ্গ কর , বীরমণি ! ” — বীরমণি হলেন – 

(ক) রাবণ , 

(গ) ইন্দ্ৰজিৎ 

(খ) বিভীষণ , 

(ঘ) বীরবাহু । 

উত্তরঃ (গ) ইন্দ্রজিৎ ; 

৭. ” নাদিলা কবুরদল ‘ – ‘ কবুর ‘ শব্দের অর্থ কী ? 

(ক) সৈন্য , 

(খ) রাক্ষস ,

(গ) বানর , 

(ঘ) যোদ্ধা । 

উত্তরঃ (খ) রাক্ষস ; 

৮. কুমারকে রাজা অভিষেক করলেন – 

(ক) দুধদিয়ে , 

(খ) দহি দিয়ে , 

(গ) গঙ্গোদক দিয়ে , 

(ঘ) ঘৃত দিয়ে । 

উত্তরঃ (গ) গঙ্গোদক দিয়ে ;

৯. ‘ রাক্ষস – কুল – শেখর তুমি , বৎস – এখানে যার কথা বলা হয়েছে – 

(ক) বীরবাহু , 

(গ) কুম্ভকর্ণের , 

(খ) বিভীষণের ,

(ঘ) মেঘনাদের । 

উত্তরঃ (ঘ) মেঘনাদের ; 

১০. ‘ প্রণমিয়া , ধাত্রীর চরণে ‘ – এই ধাত্রী হলেন- 

(ক) প্রভাষা , 

(গ) সরমা , 

(খ) কঙ্কাবতী , 

(ঘ) অম্বুরাশিসুতা । 

উত্তরঃ (ক) প্রভাষা ; 

১১. ‘ হাসিবেন মেঘবাহন ; রুষিবেন দেব / অগ্নি । ‘ – মেঘবাহন কে ? 

(ক) ব্ৰহ্মা , 

(খ) বিষ্ণু ,

(গ) মহেশ্বর , 

(ঘ) ইন্দ্ৰ ।

উত্তরঃ (ঘ) ইন্দ্র ; 

১২. ‘ রত্নাকর রত্নোত্তমা ‘ কে ? 

(ক) সরমা , 

(খ) সীতা ,

(গ) প্রমীলা , 

(ঘ) লক্ষী । 

উত্তরঃ (ঘ) লক্ষ্মী ; 

১৩. ‘ জিজ্ঞাসিলা মহাবাহু বিস্ময় মানিয়া ‘ – মহাবাহু বিস্মিত , কারণ – 

(ক) তিনি কুম্ভকর্ণের মৃত্যু সংবাদ শুনেছেন , 

(খ) তিনি রামচন্দ্রের হাতে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ শুনেছেন , 

(গ) তিনি সেনাপতি পদে অভিষিক্ত হয়েছেন ,

(ঘ) তিনি লঙ্কাপুরীর ধাত্রীদেবীকে চিনতে পারেননি । 

উত্তরঃ (খ) তিনি রামচন্দ্রের হাতে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ শুনেছেন ; 

১৪. ‘ রোষে মহাবলী / মেঘনাদ ; ‘ – রোষে মেঘনাদ কী ছিঁড়ে ফেলল ? 

(ক) হস্তবর্ম 

(ঘ) কর্ণকুগুল , 

(গ) কুসুমরাজি , 

(ঘ) কুসুমদাম । 

উত্তরঃ (ঘ) কুসুমদাম ;

১৫. ” সাজিলা রথীন্দ্রর্ষভ _______, শূন্যস্থান পূরণ করো –

(ক) স্বর্ণ – আভরণে , 

(গ) বীর – আভরণে , ‘ 

(খ) বর্ম – আভরণে , 

(ঘ) লৌহ – আভরণে । 

উত্তরঃ (গ) বীর – আভরণে ; 

১৬. “ সাজিলা রথীন্দ্রর্ষভ ” – ‘ রথীন্দ্রভ ‘ শব্দের অর্থ – 

(ক) শ্রেষ্ঠ রাজা , 

(গ) শ্রেষ্ঠ রথী 

(খ) শ্রেষ্ঠ দেবতা , 

(ঘ) শ্রেষ্ঠ অসুর । 

উত্তরঃ (গ) শ্রেষ্ঠ রথী ; 

১৭. ‘ অভিষেক’কবিতাটি কবি মধুসূদন দত্তের যে কাব্য থেকে নেওয়া তা হ’ল – 

(ক) ‘ মেঘনাদবধ কাব্য , 

(খ) ‘ বীরাঙ্গনা কাব্য ‘ , 

(গ) ‘ ব্রজাঙ্গনা কাব্য ‘ , 

(ঘ) ‘ চতুর্দশপদী কবিতাবলী ‘ । 

উত্তরঃ (ক) ‘ মেঘনাদবধ কাব্য ‘ ; 

১৮. ‘ বৃহন্নলারূপী কিরীটি কে ? 

(ক) অর্জুন , 

(খ) ইন্দ্ৰজিৎ ,

(গ) রাবণ , 

(ঘ) কুম্ভকৰ্ণ ।

উত্তরঃ (ক) অর্জুন ; 

১৯. ইন্দ্রজিতের স্ত্রীর নাম । 

(ক) ইন্দিরা , 

(খ) সরমা ,

(গ) নিকষা , 

(ঘ) প্রমীলা । 

উত্তরঃ (ঘ) প্রমীলা ; 

২০. ‘ হৈমবতীসুত ‘ যাকে বধ করেছিলেন তিনি হলেন – 

(ক) মহিষাসুর , 

(খ) তারকাসুর , 

(গ) বৃত্রাসুর ,

(ঘ) ভস্মাসুর । 

উত্তরঃ (খ) তারকাসুর ; 

১. রাক্ষস – কুল – শেখর ‘ , ‘ রাক্ষস কুল – ভরসা ‘ কে? 

উত্তরঃ ‘ রাক্ষস – কুল – শেখর ‘ ও ‘ রাক্ষস – কুল – ভরসা ‘ হলেন স্বর্ণলঙ্কার বীরকুমার মেঘনাদ ইন্দ্রজিৎ ।

২. ‘ উঠিল পবন – পথে , ঘোরতর রবে , রথবর , ‘ রথবরা ‘ কে ? 

উত্তরঃ ‘ অভিষেক ‘ কবিতা থেকে গৃহীত আলোচ্য পঙক্তিটি উল্লিখিত ‘ রথবর ‘ হলেন স্বয়ং ইন্দ্রজিৎ ।

৩. ‘ এ কলঙ্ক , পিতঃ ‘ ইন্দ্ৰজিৎ পিতাকে এখানে কোন কলঙ্কের কথা বললেন ? 

উত্তরঃ ‘ অভিষেক ‘ কবিতানুসারে ইন্দ্রজিতের মতো যোগ্য সন্তান থাকতে রাবণ যুদ্ধে যাবেন , ইন্দ্রজিৎ কিছুতেই এই কলঙ্কের ভার বইতে পারবেন না । 

৪. ‘ দেহ আজ্ঞা মোরে ; কী আজ্ঞা ইন্দ্রজিৎ রাবণের কাছে চাইলেন ? 

উত্তরঃ পাঠ্য ‘ অভিষেক কবিতায় রক্ষকুলমণি ইন্দ্রজিৎ , পিতা রাবণের কাছে যুদ্ধে যাওয়ার আজ্ঞা বা অনুমতি চাইলেন । 

৫. ‘ অভিষেক ‘ কী ? 

উত্তরঃ ‘ অভিষেক ‘ হল রাজার প্রথম সিংহাসনে আরোহণকালীন স্নানাদি অনুষ্ঠান । পাঠ্য কাব্যাংশে রাবণরাজ , পুত্র মেঘনাদকে সেনাপতি পদে অভিষিক্ত করবার উদ্যোগের প্রসঙ্গে ‘ অভিষেক ‘ শব্দটি প্রযুক্ত হয়েছে । 

৬. ‘ নিকুম্ভিলা যজ্ঞ কী ? 

উত্তরঃ স্বর্ণলঙ্কায় অবস্থিত ইন্দ্রজিতের যজ্ঞস্থানস্বরূপ উপবনের নাম ছিল নিকুম্ভিলা । এখানে যজ্ঞ করে তিনি যুদ্ধে যেতেন । সেসময় তাঁকে কেউ পরাস্ত করতে পারত না । 

৭. ‘ অম্বুরাশি সুতা ‘ কে ? 

উত্তরঃ মধুসূদনের ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশে উল্লেখিত ‘ অম্বুরাশি – সুতা হলেন দেবী লক্ষ্মী । 

৮. ‘ বিদায় এবে দেহ , বিধুমুখী ‘ ‘ বিধুমুখী ‘ কে ? 

উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘ অভিষেক ‘ কবিতায় ইন্দ্রজিৎ প্রমোদকানন থেকে বিদায় নেওয়ার আগে প্রাণাধিক প্রিয় প্রমীলাকে ‘ বিধুমুখী বলে সম্বোধন করেছিলেন । 

৯. ছদ্মবেশী লক্ষ্মী ইন্দ্রজিৎকে কী বলেছিলেন ? 

উত্তরঃ ‘ অভিষেক ‘ কবিতা অনুসারে ছদ্মবেশী লক্ষ্মী , রামের হাতে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ এবং রক্ষোরাজ রাবণের যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতির খবর জানিয়ে , ইন্দ্রজিতের কাছে রক্ষকুলের মানমর্যাদা রক্ষার অনুরোধ জানিয়েছিলেন ।

১০. ‘ অভিষেক ‘ রচনাংশটিতে কার অভিষেকের কথা বলা হয়েছে ? 

উত্তরঃ মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘ অভিষেক ‘ রচনাংশটিতে রক্ষরাজ রাবণের পুত্র ইন্দ্রজিতের অভিষেকের কথা বলা হয়েছে । 

১১. বীরবাহু কে ? 

উত্তরঃ লঙ্কেশ্বর রাবণ ও গন্ধর্বতনয়া চিত্রাঙ্গদার পুত্র হলেন বীরবাহু । বাল্মীকির রামায়ণে বীরবাহুর উল্লেখ না – থাকলেও কৃত্তিবাসী রামায়ণে তাঁর উল্লেখ পাওয়া যায় । 

১২. হায় ! পুত্র , কি আর কহিব কনক – লঙ্কার দশা ! ‘ বক্তা ‘ কনক – লঙ্কার দশা ‘ বলতে কী বুঝিয়েছেন ? 

উত্তরঃ বক্তা প্রভাষার ছদ্মবেশী ‘ অম্বুরাশি – সুতা ‘ অর্থাৎ লক্ষ্মীদেবী ‘ কনক – লঙ্কার দশা ‘ বলতে বীরবাহুর মৃত্যু এবং সেই কারণে রাবণের সসন্যৈ যুদ্ধযাত্রার কথা বলেছেন । 

১৩. ‘ জিজ্ঞাসিলা মহাবাহু বিস্ময় মানিয়া ; মহাবাহু কে এবং তার বিস্ময়ের কারণ কী ? 

উত্তরঃ ‘ মহাবাহু ‘ হলেন ইন্দ্রজিৎ । রামচন্দ্রকে রাত্রিকালীন যুদ্ধে তিরের আঘাতে খণ্ড খণ্ড করে কেটে ফেলা সত্ত্বেও , তাঁরই হাতে বীরবাহু কীভাবে মারা যেতে পারে এ কথা ভেবে তিনি বিস্মিত হয়েছেন । 

১৪. ‘ রক্ষ রক্ষঃকুলমান , ‘ বক্তা কে এবং কাকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেছেন ? 

উত্তরঃ বক্তা হলেন প্রভাষার রূপ ধারণকারিণী দেবী লক্ষ্মী । তিনি মায়াবী রামচন্দ্রের হাত থেকে রক্ষঃকুলকে রক্ষার জন্য ইন্দ্রজিৎকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেছেন । 

১৫. ‘ হা ধিক্ মোরো ‘ বক্তা কেন নিজেকে ধিক্কার দিয়েছিলেন ? 

উত্তরঃ স্বর্ণলঙ্কা যখন শত্রুপক্ষের ঘেরাটোপে , প্রিয় ভাই যখন নিহত , পিতা যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তখন প্রমোদ কাননে মেয়েদের মাঝে বিলাসিতা শোভন নয় – তাই এই আত্মধিক্কার । 

১৬. মায়াবী মানব বলতে কাকে চিহ্নিত করা হয়েছে ? 

উত্তরঃ ‘ অভিষেক ‘ নামাঙ্কিত পাঠ্য রচনাংশে মায়াবী মানব বলতে লক্ষ্মী , রঘুবর রামচন্দ্রকে চিহ্নিত করেছেন । 

১৭. ইন্দ্রজিৎকে ‘ রক্ষঃ – চূড়ামণি ‘ বলার কারণ কী ? 

উত্তরঃ ‘ রক্ষঃ – চূড়ামণি ‘ শব্দের অর্থ রাক্ষসদের মধ্যে কুলশ্রেষ্ঠ বা শিরোমণি । প্রবল শক্তির অধিকারী ইন্দ্রজিৎ রাক্ষসদের মধ্যে বীর যোদ্ধা , তাই তাকে ‘ রক্ষঃ – চূড়ামণি ‘ বলা হয়েছে । 

১৮. ‘ আন রথ ত্বরা করি ; ত্বরা করে রথ এনে ইন্দ্রজিৎ কী করবেন ? 

উত্তরঃ পাঠ্য ‘ অভিষেক ‘ কবিতা অনুসারে , শীঘ্র রথ নিয়ে রাবণপুত্র ইন্দ্রজিৎ প্রমোদকানন ত্যাগ করে স্বর্ণলঙ্কার অভিমুখে যাত্রা করবেন । 

১৯. ‘ হেনকালে প্রমীলা সুন্দরী ‘ প্রমীলা কে ? 

উত্তরঃ ‘ অভিষেক ‘ কবিতা অনুসারে প্রমীলা হলেন রক্ষকুলবধূ ইন্দ্রজিৎ – মেঘনাদের পত্নী এবং অসাধারণ শক্তিময়ী নারী । 

২০. ‘ তবে কেন তুমি , গুণনিধি কে , কাকে গুণনিধি বলেছেন ? 

উত্তরঃ ‘ অভিষেক ‘ কবিতায় প্রমীলা রাবণপুত্র ইন্দ্রজিৎকে গর্ব করে গুণনিধি বলেছেন । 

২১. ‘ কে কবে শুনেছে পুত্র , ভাসে শিলা জলে , বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী ? 

উত্তরঃ ‘ অভিষেক ‘ কবিতায় রাবণ ইন্দ্রজিৎকে বলেছেন , শিলা জলে ভাসা কিংবা মৃত মানুষের পুনরায় বেঁচে ওঠার মতো ঘটনা কেউ কোনোদিন না শুনলেও রাম – লক্ষ্মণের ক্ষেত্রে এমন কল্পনাতীত ঘটনাই ঘটেছে । অর্থাৎ রামচন্দ্রের মৃত্যুর পরে পুনর্জীবন লাভ প্রসঙ্গেই বক্তার এই বক্তব্য । 

১. ‘ কে কবে শুনেছে পুত্র , ভাসে শিলা জলে । কে কবে শুনেছে , লোক মরি পুনঃ বাঁচে ? —এমন উপমা দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করো । 

উত্তরঃ ‘ অভিষেক ‘ কবিতাংশে রামচন্দ্রের পুনর্বার বেঁচে ওঠা সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে রাবণ এমন উপমা ব্যবহার করেছেন । ইন্দ্রজিতের হাতে দু – দুবার রামচন্দ্রের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েও তিনি আবার বেঁচে ওঠেন । তাই প্রিয় পুত্রকে যুদ্ধযাত্রার অনুমতি দিলেও বিধাতা যে তাঁর প্রতি বিরূপ তা তিনি বুঝতে পারেন । শিলা বা পাথরের জলে ভাসার মতোই মৃত মানুষের বেঁচে ওঠাও অবিশ্বাস্য ব্যাপার । বিস্ময় ও হতাশা ব্যক্ত করতে এমন উপমা ব্যবহৃত হয়েছে । 

২. ‘ এ কলঙ্ক , পিতঃ , ’ – বক্তা কোন্ ঘটনাকে কলঙ্ক বলে মনে করেছেন ? 

উত্তরঃ অভিষেক কবিতানুসারে বীরবাহুর মৃত্যু ও পিতার যুদ্ধযাত্রার কথা শুনে ইন্দ্রজিৎ লঙ্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন । পিতাকে যুদ্ধযাত্রা থেকে বিরত করে ইন্দ্রজিৎ বলেন , পুত্র বর্তমান থাকতে পিতার যুদ্ধযাত্রা কলঙ্কের বিষয় । এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন যে , এ কথা যখন সকলে জানবেন তখন দেবরাজ ইন্দ্র হাসবেন এবং অগ্নি রুষ্ট হবেন । সমস্ত ঘটনা তাঁর বীরত্বের পক্ষে কলঙ্কজনক । এসব কথা ভেবেই ইন্দ্রজিৎ এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন । 

৩. এই কি সাজে আমারে- কার উক্তি ? এমন উক্তি কেন করা হয়েছে ? 

উত্তরঃ মাইকেল মধুসুদন দত্তের ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশ থেকে গৃহীত উদ্ধৃতিটির বক্তা ইন্দ্রজিৎ । ইন্দ্ৰজিৎ প্রমোদকাননে বামাদল মাঝে বিলাসব্যসনে মত্ত । এমন সময় প্রভাষারূপী লক্ষ্মী এসে জানান যুদ্ধে রামের হাতে বীরবাহু মৃত । এই পরিস্থিতিতে স্বয়ং রক্ষোরাজ রাবণ যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন । লঙ্কার এমন দুর্দশায় বীরধর্ম পালনে ব্যর্থ হওয়ায় ইন্দ্রজিৎ লজ্জা ও ঘৃণায় আত্মধিক্কার দেন । তখন ক্রোধে ‘ কুসুমদাম ‘ , ‘ কনকবলয় ‘ ছুঁড়ে ফেলে যুদ্ধযাত্রার উদ্দেশ্যে অধীর হয়ে উঠে , তিনি প্রশ্নোদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছিলেন । 

৪. জিজ্ঞাসিল মহাবাহু বিস্ময় মানিয়া কাকে “ মহাবাহু ‘ বলা হয়েছে ? তার বিস্ময়ের কারণ কী ? 

উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশ থেকে গৃহীত উদ্ধৃতিটিতে ‘ মহাবাহু ‘ বলতে রাক্ষসবংশের শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা ইন্দ্রজিতের কথা বলা হয়েছে । স্বর্ণলঙ্কার ঘোর দুর্দিনের সংবাদ নিয়ে প্রভাষা – রূপী লক্ষ্মী , প্রমোদকাননে এসে উপস্থিত হন । সেখানে উপস্থিত ইন্দ্রজিৎকে তিনি জানান , ভয়াবহ যুদ্ধে তাঁর প্রিয় ভাই বীরবাহু নিহত হয়েছেন এবং পুত্রশোকে স্তব্ধ রক্ষোপতি রাবণ সসৈন্যে যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন । লঙ্কাপুরী এখন } বীরশূন্য । ভাইয়ের মৃত্যু ও পিতার যুদ্ধযাত্রার কথা শুনে , এ সমস্ত ঘটনাক্রম সম্পর্কে অনবগত ইন্দ্রজিৎ বিস্মিত হয়েছিলেন ।

৫. শিরঃ চুম্বি , ছদ্মবেশী অম্বুরাশি – সুতা / উত্তরিলা ; – ‘ অম্বুরাশি – সুতা ‘ কে ? তাঁর উত্তর কী ছিল ? 

উত্তরঃ মধুসুদনের অভিষেক ‘ নামক পাঠ্য কাব্যাংশে ‘ অম্বুরাশি – সুতা ‘ শব্দটি পাই । ইনি আসলে দেবী লক্ষ্মী । সমুদ্রমন্থনকালে জল থেকে উত্থিত = বলে তাঁর এমন নাম । দেবী লক্ষ্মী ধাত্রী প্রভাষার রূপে প্রমোদ – উদ্যানে হাজির হলে ইন্দ্রজিৎ তাঁকে আসার কারণ ও লঙ্কার কুশল জিজ্ঞাসা করেন । অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে তিনি ( দেবী লক্ষ্মী ) রামের সাথে ভীষণ যুদ্ধে ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ ও পুত্রশোকে শোকগ্রস্ত পিতা রাবণের যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতির কথা জানান । 

৬. ‘ মহাবাহু বিস্ময় মানিয়া ; ‘ – ‘ মহাবাহু ‘ কে ? তাঁর বিস্ময়ের কারণ কী ? 

উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ( মেঘনাদবধ কাব্য প্রথম সর্গ ) পাঠ্য অভিষেক রচনাংশে ‘ মহাবাহু ‘ হলেন রক্ষকুলমণি বীরেন্দ্রকেশরী ইন্দ্রজিৎ মেঘনাদ । কবি এখানে ইন্দ্রজিতের প্রবল শক্তি ও পরাক্রমের জন্য তাঁকে ‘ মহাবাহু ‘ বিশেষণে ভূষিত করেন । ইন্দ্রজিৎ যখন লক্ষ্মীরূপী ভগবতীর কাছে রামচন্দ্রের সঙ্গে সম্মুখসমরে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ জানলেন , তখন তিনি অত্যন্ত বিস্ময় প্রকাশ করলেন । কারণ তিনি নিজে রাত্রিকালীন যুদ্ধে রামকে সংহার করেছেন । মৃত ব্যক্তি কীভাবে বীরবাহুকে সংহার করবে এ কথা ভেবেই তিনি বিস্মিত ।

৭. ‘ রক্ষ রক্ষঃকুল মান , এ কালসমরে , রক্ষ : -চূড়ামণি । – বক্তা ‘ রক্ষ : -চূড়ামণি ” বলে কাকে সম্বোধন করেছেন ? ‘ কালসমর ‘ বলতে কী বোঝ ? উত্তরঃ বক্তা ইন্দিরা সুন্দরী অর্থাৎ লক্ষ্মী দেবী ‘ রক্ষঃ — চূড়ামণি ‘ বলে ইন্দ্রজিৎকে সম্বোধন করেছেন । ‘ কালসমর ‘ বলতে বোঝায় কাল রূপ সমর বা ভয়ংকর যুদ্ধ । এক্ষেত্রে রামচন্দ্রের সঙ্গে রাক্ষসদের ভয়ংকর প্রাণঘাতী যুদ্ধকে বোঝানো হয়েছে । ছদ্মবেশী দেবীলক্ষ্মী প্রমোদকাননে ইন্দ্রজিতের সামনে যখন হতাশার সুরে বীরবাহুর মৃত্যু , রাবণের যুদ্ধযাত্রার কথা বলছিলেন তখন তা তাঁর বিশ্বাস হচ্ছিল না । দেবী মায়াবী মানব রামচন্দ্রের জেগে ওঠা ও তার দৈবী শক্তির পরিচয় দিতে শব্দটি ব্যবহার করেছেন । 

৮. ” ধিক মোরে কে , কেন এ কথা বলেছেন ? 

উত্তরঃ উদ্‌ধৃত অংশটির বক্তা মধুসুদনের ‘ মেঘনাদবধ কাব্য ‘ থেকে গৃহীত ‘ অভিষেক ‘ নামক কাব্যাংশের অন্যতম চরিত্র ইন্দ্রজিতের । মেঘনাদ প্রমোদকাননে বিলাসব্যসনে মত্ত থাকার সময় প্রভাষার ছদ্মবেশে লক্ষ্মী এসে ইন্দ্রজিৎকে তার প্রিয় ভ্রাতা বীরবাহুর মৃত্যু এবং শোকস্তব্ধ রাবণের শত্রু রাঘব নিধনে ব্রতী হওয়ার কথা জানায় । লঙ্কার এই দুর্দিনে ইন্দ্ৰজিৎ প্রমোদকাননে মেয়েদের মাঝে থেকে রাজধর্ম পালনে ব্যর্থ হয়েছেন বলে তাঁর এই আত্মধিক্কার । 

৯. ‘ এ মায়া , পিতঃ , বুঝিতে না পারি । -বক্তার না বোঝার কারণ কী ? 

উত্তরঃ মধুসূদন দত্তের ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশ থেকে গৃহীত উদ্‌ধৃত পক্তিটির বক্তা ইন্দ্রজিৎ । তিনি পিতাকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে কোন্ মায়াবলে রামচন্দ্র তাঁর তিরে নিথর হয়েও পুনরায় বেঁচে উঠলেন । আসলে পরাক্রমশালী ইন্দ্রজিৎ দুইবার যুদ্ধে রামচন্দ্রের প্রাণনাশের উদ্যোগ করেছিলেন । তাই বারবার রামের পুনর্জীবন লাভ তাঁর কাছে গভীর বিস্ময়ের ব্যাপার । এ কোনো মায়াবল ছাড়া সম্ভব নয় । তাই তিনি এই উক্তির মাধ্যমে অন্তর্মনের বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করেছেন । 

১০. হায় , বিধি বাম মম প্রতি ।’— বক্তা কে ? তিনি এমন কথা বলেছেন কেন ? 

উত্তরঃ উদ্‌ধৃতাংশটি মধুসূদন দত্ত রচিত ‘ অভিষেক ‘ নামক পদ্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে । এখানে বক্তা স্বয়ং রাবণ । বীরবাহুর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ক্রদ্ধ ইন্দ্রজিৎ লঙ্কায় উপস্থিত হয়ে রাবণের কাছে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করেন । একবার পুত্রশোক পাওয়ার পর রামের বিরুদ্ধে এই ভয়ানক যুদ্ধে আর – এক প্রিয় পুত্রকে পাঠাতে চান না রাবণ । কিন্তু ভাগ্য তাঁর প্রতি এতটাই বিরূপ যে শেষ পর্যন্ত রক্ষকুলশেখর ইন্দ্রজিৎকেও যুদ্ধে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি । 

১. পাঠ্য কবিতা অবলম্বনে ইন্দ্রজিতের চরিত্র আলোচনা করো , অথবা , ‘ অভিষেক করিলা কুমারে — পাঠ্য কবিতা অবলম্বনে ‘ কুমার ‘ – এর চরিত্রবিশ্লেষণ করো । 

উত্তরঃ আমাদের পাঠ্য কাব্যাংশ ‘ অভিষেক ‘ – এ কেন্দ্রীয় চরিত্র মেঘনাদ বা ইন্দ্রজিৎ । পাঠ্যাংশের স্বল্প পরিসরে তাঁর চরিত্রের বেশ কিছু দিক ফুটে ওঠে । 

বীরত্ব : বীর ইন্দ্রজিৎ নিজের বাহুবলের ওপর যথেষ্ট আস্থাশীল । বীরবাহুর মৃত্যু ও পিতার যুদ্ধযাত্রার কথা শুনে তাঁর বীরসত্তা জেগে ওঠে । বীরোচিত সাজসজ্জা করে তিনি লঙ্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন । 

আত্মপ্রত্যয় : ইন্দ্ৰজিৎ আগে দু – বার রামচন্দ্রকে পরাজিত করেছেন , এমনকি তাঁকে নিহতও করেছেন । তবু কোনো এক মায়া বলে আবার জীবন ফিরে পেয়েছেন রাম । কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি যখন রামচন্দ্রকে বন্দি করে রাবণের পদতলে নিয়ে আসার কথা বলেন , তখন তাঁর মধ্যে আত্মপ্রত্যয় ও দৃঢ়তা লক্ষ করা যায় । 

কর্তব্যবোধ প্রমোদকাননে বিলাসে মত্ত থাকাকালীন প্রভাষা – রূপী লক্ষ্মীর কাছে লঙ্কার দুর্দিন এবং পিতার যুদ্ধযাত্রার কথা শোনামাত্রই ইন্দ্রজিৎ লঙ্কায় উপস্থিত হন । যোগ্য সন্তান থাকা সত্ত্বেও পিতার যুদ্ধযাত্রাকে তিনি নিজের কলঙ্ক বলেই মনে করেন । 

দেশপ্রেম ও আত্মসমালোচনা : স্বর্ণলঙ্কা শত্রুসেনা দ্বারা আক্রান্ত অথচ তিনি প্রমোদকাননে বিলাসে মত্ত এ কথা জেনে ইন্দ্রজিৎ নিজেকে ধিক্কার দেন । এর থেকে তাঁর দেশপ্রেমের যেমন পরিচয় পাওয়া যায় , তেমনই বোঝা যায় আত্মপ্রত্যয়ী প্রয়োজনে নিজের সমালোচনা করতেও তিনি পিছপা নন । 

→ পত্নীপ্রেম স্ত্রী প্রমীলার কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় তাকে আশ্বস্ত করে ইন্দ্রজিৎ বলেন ভালোবাসার যে , দৃঢ় বন্ধনে তাঁরা আবদ্ধ তা ছিন্ন হওয়ার নয় । এ তাঁর পত্নীপ্রেমেরই পরিচয় । এভাবেই মহাকাব্যের খলনায়ক মধুসূদনের লিখনকৌশলে হয়ে উঠেছে । কবির পছন্দের নায়ক ।

২. ‘ তবে কেন তুমি , গুণনিধি , ত্যজ কি কিরীরে আজি ? ‘ — ‘ কিঙ্করী ’ কে ? তাঁর চরিত্রবৈশিষ্ট্য আলোচনা করো । 

উত্তরঃ মধুসূদনের ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশে কিঙ্করী হলেন প্রমীলা ।। ‘ কিঙ্করী ‘ শব্দের অর্থ দাসী । স্বামীর বিরহে কাতর । এক স্ত্রীর আকুতি প্রমীলার এই উক্তির মধ্য দিয়ে বিনীর পরিচয় প্রতিফলিত হয়েছে ।। চরিত্ৰবৈশিষ্ট্য প্রমীলা রাবণের পুত্রবধূ মেঘনাদের স্ত্রী । মহাকাব্যে চিত্রিত প্রমীলা চরিত্র কবির কল্পনাপ্রসূত । মূল বাল্মীকি রামায়ণে এই চরিত্র সম্পর্কে উল্লেখ না থাকলেও কৃত্তিবাসী রামায়ণে এই চরিত্রের উল্লেখ আছে । প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সাহিত্যের সংমিশ্রণে মধুসুদন তাঁর এই মানসকন্যাকে অঙ্কন করেছেন । যা বাংলা সাহিত্যে বিরল । 

পতিবিরহে কাতর : পাঠ্যে আমরা প্রমীলাকে পাই এমন এক নারী হিসেবে যে যুদ্ধগামী পতিকে বিদায় দিতে অনিচ্ছুক । একজন কুলবধূর পক্ষে তাই স্বাভাবিক । তিনি পতিপ্রেমে মুগ্ধ , তাই সাময়িক পতিবিরহ যে তার পক্ষে অসহনীয় তার উল্লেখ তাঁর উক্তিতেই পাওয়া যায়।

 যোগ্য পত্নী : প্রমীলা মেঘনাদের সুযোগ্য পত্নী । সর্বজয়ী প্রেমে সে মেঘনাদকে জয় করেছেন । মেঘনাদের উক্তিতেই তা স্পষ্ট , ইন্দ্রজিতে জিতি তুমি , সতি , / বেঁধেছ যে দৃঢ় বাঁধে , কে পারে খুলিতে / সে বাঁধে ? ‘ — এ কেবল মুখের কথা নয় , এ এক পরমসত্য । নারী যে বিচিত্র রূপ ধরতে পারে , তা প্রমীলার মধ্যে দেখা যায় । যেভাবে তিনি দেব – দৈত্য – নর – ত্রাস রণরঙ্গে মত্ত বীরকে নিজের প্রেমে আবদ্ধ করেছেন তা তুলনাহীন ।

৩. রাবণ চরিত্র আলোচনা করো ।

উত্তরঃ মধুসূদনের রাবণ এক ভাগ্যবিড়ম্বিত নায়ক । পাঠ্যাংশে আমরা তাঁকে পাই একজন স্নেহশীল পিতা , দৈবাহত রাজা , দায়িত্ববান শাসক , ভ্রাতৃপ্রেমী অগ্রজ , সমরবিশেষজ্ঞ এবং ধর্মভীরু হিসেবে । 

স্নেহশীল পিতা : বীরবাহুর মৃত্যুতে শোক এবং ইন্দ্রজিৎকে যুদ্ধে পাঠাতে না চাওয়া লঙ্কেশ্বর রাবণের অকৃত্রিম পুত্রস্নেহের পরিচায়ক । 

দৈবাহত রাজা : রাবণের রণসজ্জার মধ্যে তাঁর তেজোদৃপ্ত রাজসিক ভাব যথেষ্ট প্রকাশিত হলেও এই রাজাকেই আমরা নিয়তির কাছে অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করতে দেখি । তিনি ‘ বিধি বাম ’ বলে ইন্দ্রজিতের কাছে অসহায়তা প্রকাশ করেন । 

দায়িত্ববান শাসক : কুম্ভকর্ণ ও বীরবাহুর মৃত্যুতে লঙ্কাপুরী যখন বীরশূন্য তখন দেশকে বাঁচাতে রাজা রাবণ স্বয়ং যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতি নেয় । তাঁর এই উদ্যোগ রাজা হিসেবে তাঁর দায়িত্বকেই প্রকট করে । 

স্রাতৃপ্রেমী অগ্রজ : দেশের সুরক্ষার স্বার্থে রাবণ কুম্ভকর্ণকে অকালে জাগিয়ে যুদ্ধে পাঠান এবং যুদ্ধে কুম্ভকর্ণের মৃত্যু হয় । এজন্য তিনি শুধু শোকগ্রস্তই হন না বরং নিজেকে দায়ীও মনে করেন । 

সমর বিশেষজ্ঞ লঙ্কেশ্বর দেশের স্বার্থে যোগ্য বীর ইন্দ্রজিৎকে সেনাপতি পদে বরণ করে নেন । তবে তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে তিনি ইন্দ্রজিৎকে রাতে যুদ্ধে যেতে নিষেধ করেন । 

ধর্মভীরু : ইন্দ্ৰজিৎকে সেনাপতি পদে অভিষিক্ত করার সময় রাবণ শাস্ত্রবিধি মেনেই তা করেন । এমনকি যুদ্ধে যাওয়ার আগে তিনি ইন্দ্রজিৎকে ইষ্টদেবতার পূজা করার উপদেশ দেন । এ তাঁর ধর্মভীরুতারই প্রকাশ ।

৪. প্রমীলা কে ? ইয়াজিতের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন নিজের ভাষায় লেখো । 

উত্তরঃ পাঠ্য ‘ অভিষেক ‘ নামাঙ্কিত কাব্যাংশে মধুসুদন ইন্দ্রজিতের শ্রমীলার পরিচায় স্ত্রী হিসেবে প্রমীলাকে উপস্থিত করেছেন । বাল্মীকি রামায়ণে না থাকলেও আমরা কৃত্তিবাসী রামায়ণে তাকে পাই । এখানে প্রমীলা কবির নিজস্ব পরিকল্পনা । 

  প্রমোদ উদ্যানে বিলাসে মত্ত থাকাকালীন প্রভাষা – রূপী ছদ্মবেশী দেবী লক্ষ্মী মুখে রাঘবের হাতে বীরবাহুর মৃত্যু ও শোকাহত রাবণের যুদ্ধনাত্রার কথা শুনে ক্রুদ্ধ ইন্দ্রজিৎ নিজেকে ধিক্কার জানিয়ে রণসাজে সজ্জিত হয়ে যখন বীরদর্পে যুদ্ধে গমনোদ্যত , তখন প্রমীলার দেখা পাওয়া যায় । তিনি তখন স্বামীর দুটি পা ধরে কেঁদে জানতে চান , ইন্দ্ৰজিৎ তাঁকে রেখে আজ কোথায় চলেছেন ? স্বামীর বিরহে কীভাবে তিনি দিনপাত করবেন ? এ প্রসঙ্গে প্রমীলার বক্তব্য গভীর জঙ্গলে ইন্দ্রজিৎ ও প্রমীলার হাতির দল বনলতার আকর্ষণ ছিন্ন করলেও , দলপতি কথোপকথন তাকে পদতলে স্থান দেয় । তিনিও এটুকুই চান । আজ কেন ইন্দ্ৰজিৎ এই সেবিকাকে ত্যাগ করে যাচ্ছেন ? স্বামী – স্ত্রীর চিরন্তন বন্ধনের কথা মনে করিয়ে ইন্দ্রজিৎ যত দ্রুত সম্ভব ফিরে আসার অঙ্গীকার করেন । কারণ হিসেবে তিনি বলেন , প্রমীলাই তো ইন্দ্রজিতের কল্যাণী । তাঁর মঙ্গল কামনার জোরে এই যুদ্ধে ইন্দ্রজিৎ রাঘবকে অনায়াসে নাশ করতে পারবেন । প্রমোদকানন থেকে লঙ্কায় যাত্রাকালে ইন্দ্রজিৎ এভাবেই প্রমীলার কাছ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন ।

৫. ‘ নমি পুত্র পিতার চরণে , করজোড়ে কহিলা ; – পিতা ও পুত্রের পরিচয় দাও । পাঠ্যাংশ অবলম্বনে পিতা ও পুত্রের কথোপকথন নিজের ভাষায় লেখো ।

উত্তরঃ মধুসূদনের ‘ মেঘনাদবধ কাবা ‘ – এর প্রথম সর্গ থেকে গৃহীত পাঠ ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশের উদ্ধৃত অংশটিতে পিতা পিতা ও পুত্রের পরিচয় হলেন লঙ্কাধিপতি রাবণ এবং পুত্র হল রাবণপুত্র ইন্দ্ৰজিং । 

  পিতা রাবণকে প্রণাম জানিয়ে ইন্দ্রজিৎ যুদ্ধযাত্রার অনুমতি চান । তাঁর হাতে নিশারণে নিহত রাম পুনর্জীবন লাভ করেছেন শুনে , রামের মায়া না বুঝলেও ; তিনি রাঘবকে বায়ুঅস্ত্রে ভস্ম করার কিংবা রাজপদে বেঁধে আনার সংকল্প করেন । পুত্রের কথায় পুত্রবৎসল এক পিতার হৃদয়ের প্রকৃত স্বরূপটি ফুটে ওঠে । সেখানে ধ্বনিত হয় স্নেহ – হাহাকার ও অসহায়তা । রক্ষোকুলের শ্রেষ্ঠ সম্পদটিকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাতে তাঁর মন চায় না । তিনি পিতা – পুত্রের কথোপকথন চান না স্বর্ণলঙ্কার শেষ কুলপ্রদীপটি নির্বাপিত হোক । কারণ স্বয়ং বিধাতাও রাবণের প্রতি বিরূপ । না – হলে শিলা যেমন জলে ভাসে না , তেমনই মৃত কখনও পুনর্জীবন পায় না । অথচ এক্ষেত্রে তাই ঘটেছে । কিন্তু পৌরুষ ও সৎসাহসে উদ্দীপ্ত ইন্দ্ৰজিৎ অগ্নিদেবকে রুষ্ট করতে কিংবা পরাজিত ইন্দ্রদেবের হাসির পাত্র হতে পারেন না । তাই তিনি দ্বিতীয়বার রাঘবকে পরাজিত করার জন্য পিতার আব্বা চান । রাবণের অন্তর ক্ষতবিক্ষত মানসিক টানাপোড়েনে তিনি আকুল – অস্থির । তাঁর দৃষ্টির সামনে ভূপতিত পর্বতসম কুম্ভকর্ণ । তিনি প্রাণাধিক প্রিয় ‘ বীরমণি ‘ – কে প্রথমে ইস্টদেবের পূজা ও তারপর নিকুম্ভিলা যজ্ঞ সাঙ্গ করে পরদিন সকালে যুদ্ধযাত্রা করতে বলেন । কিন্তু দ্বিধা – দ্বন্দ্ব প্রশমিত করে যথাবিধি মেনে সেনাপতি পদে ইন্দ্রজিতের অভিষেক ঘটান । এখানে এক ভাগ্যবিড়ম্বিত শোকাহত ও নিঃসঙ্গ পিতার পাশে , সাহস – অহংকার আর বীরধর্মে উজ্জীবিত পুত্রের আশ্চর্য ছবি তুলে ধরেছেন কবি মধুসুদন । 

Madhyamik Suggestion 2024 | মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৪

আরো পড়ুন:-

Madhyamik Bengali Suggestion 2024 Click here

আরো পড়ুন:-

Madhyamik English Suggestion 2024 Click here

আরো পড়ুন:-

Madhyamik Geography Suggestion 2024 Click here

আরো পড়ুন:-

Madhyamik History Suggestion 2024 Click here

আরো পড়ুন:-

Madhyamik Life Science Suggestion 2024 Click here

আরো পড়ুন:-

Madhyamik Mathematics Suggestion 2024 Click here

আরো পড়ুন:-

Madhyamik Physical Science Suggestion 2025 Click here

আরো পড়ুন:-

Madhyamik Suggestion 2024 Click here

West Bengal class 10th Bengali Board Exam details info

West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Madhyamik Exam Bengali Suggestion download for Bengali subject. West Bengal Board of Secondary Education will organise this Examination all over West Bengal. Students who are currently studying in Class 10th, will sit for their first Board Exam Madhyamik. WBBSE Madhyamik Bengali question paper download.

Madhyamik Bengali Syllabus

West Bengal Madhyamik Bengali Syllabus with all the important chapters and marks distribution. Download the Madhyamik Bengali Syllabus and Question Paper. Questions on the Bengali exam will come from these chapters. All the chapters are equally important, so read them carefully.

Madhyamik Bengali Syllabus Download Click Here

Madhyamik Bengali Question Paper Marks Details

The total marks for This Madhyamik Bengali Examination will be 100, out of which 90 marks for the written exam and 10 marks for viva voce. The question pattern and Marks distribution of the Madhyamik Bengali question paper are given below.

Madhyamik Question Pattern Mark Details Click Here

অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Abhishek Suggestion 

অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Abhishek Suggestion : অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Class 10 Bengali Abhishek Suggestion – অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা | Madhyamik Bengali Abhishek Suggestion উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

West Bengal WBBSE Madhyamik Class 10 Bengali Abhishek Suggestion | অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা 

West Bengal WBBSE Madhyamik Class 10 Bengali Abhishek Suggestion | অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক বাংলা : Madhyamik Bengali Abhishek Suggestion Question and Answer | অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal WBBSE Madhyamik Class 10 Bengali Abhishek Suggestion | অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

Madhyamik Bengali Abhishek  Question and Answer | অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর 

Madhyamik Bengali Question and Answer | অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর : Madhyamik Bengali Question and Answer | অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – Madhyamik Bengali Question and Answer | অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর গুলো উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Abhishek Suggestion 

  এই “অভিষেক কবিতা (মাইকেল মধুসুদন দত্ত) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Abhishek Suggestion” পোস্টটি থেকে যদি আপনার লাভ হয় তাহলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী সমস্ত শ্রেণীর প্রতিটি অধ্যায় অনুশীলন, বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার গাইডেন্স ও চারীর খবর বা শিক্ষামূলক খবর জানতে  আমাদের এই  Porasuna.in ওয়েবসাইটি দেখুন, ধন্যবাদ।