বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Bahurupi Suggestion

5308
বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Bahurupi Suggestion
বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Bahurupi Suggestion
Contents hide
3 বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Bahurupi Suggestion | West Bengal Class 10 Bahurupi

বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Bahurupi Suggestion : নমস্কার, বন্ধুরা আজকের আলোচ্য বিষয় বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Bahurupi Suggestion নিচে দেওয়া হলো। এই বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক বাংলা – Madhyamik Bengali Bahurupi Suggestion থেকে MCQ, SAQ, Description Question and Answer, Suggestion, Notes গুলি আগামী মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।

 আপনার যারা বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা – West Bengal WBBSE Madhyamik Class 10 Bengali Bahurupi Suggestion খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারেন।

BOARDWBBSE
CLASSMadhyamik (Class 10)
SUBJECTMadhyamik Bengali
CHAPTERবহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ)

১. সপ্তাহে হরিদা বহুরূপী সেজে বাইরে যান – 

(ক) একদিন , 

(খ) দুদিন ,

(গ) চারদিন , 

(ঘ) পাঁচদিন ।

উত্তরঃ (ক) একদিন ; 

২. ‘ সাদা মাথা , সাদা দাড়ি , সৌম্য শান্ত ও জ্ঞানী মানুষ ‘ কে ? 

(ক) ছদ্মবেশী হরিদা , 

(খ) সন্ন্যাসী ,

(গ) জগদীশবাবু , 

(ঘ) হিমালয়ের সাধুবাবা ।

উত্তরঃ (গ) জগদীশবাবু 

৩. “ সেটা পূর্বজন্মের কথা ” – ” পূর্বজন্মের কথা হল –

(ক) বিরাগী সংসার বিমুখ , 

(খ) বিরাগী নির্মোহ হ’ল ,

(গ) বিরাগী রাগের অধীন 

(ঘ) বিরাগী কাউকে পদধূলি দেন না ।

উত্তরঃ (গ) বিরাগী রাগের অধীন 

৪. ‘ অসম্ভব ! হরিদার গলার স্বর এরকমেরই নয় ‘  – বক্তা কে ?

(ক) গল্পকথক , 

(খ) ভবতোষ ,

(গ) কাশীনাথ , 

(ঘ) শিবতোষ ।

উত্তরঃ (খ) ভবতোষ ; 

৫. বিরাগীর মতে , ‘ পরম সুখ ‘ হল – 

(ক) পরমাত্মার দর্শন লাভ করা যায় , 

(খ) ঈশ্বর সাধনা করা , 

(গ) সব সুখের বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারা , 

(ঘ) সংসার ত্যাগ না করা । 

উত্তরঃ (গ) সব সুখের বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারা ; 

৬. বিরাগী ধন জন যৌবনকে বলেছিলেন সুন্দর সুন্দর এক একটি – 

(ক) সম্পদ , 

(খ) বঞ্চনা ,

(গ) মায়া , 

(ঘ) রত্ন । 

উত্তরঃ (খ) বঞ্চনা ; 

৭. হরিদার ঘরে আড্ডা দিতেন- 

(ক) অনাদি ও প্রাণতোষ , 

(খ) ভবতোষ ও প্রাণতোষ ,

(গ) অনাদি ও ভবতোষ , 

(ঘ) অমল ও ভবতোষ ।

উত্তরঃ (গ) অনাদি ও ভবতোষ ; 

৮. স্কুলের মাস্টারমশাইয়ের থেকে হরিদা পেয়েছিল –

(ক) চার আনা , 

(খ) পাঁচ আনা ,

(গ) সাত আনা , 

(ঘ) আট আনা । 

উত্তরঃ (ঘ) আট আনা ; 

৯. ‘ বাইজির ছদ্মবেশে সেদিন হরিদার রোজগার মন্দ হয়নি । ‘ – বাইজির ছদ্মবেশে হরিদা রোজগার করেন 

(ক) ছয় টাকা আট আনা 

(খ) আট টাকা ছয় আনা , 

(গ) আট টাকা দশ আনা , 

(ঘ) নয় টাকা চার আনা ।

উত্তরঃ (গ) আট টাকা দশ আনা ;

১০. সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো পেয়েছিলেন – 

(ক) বিরাগীবাবু ,

(খ) নিমাইবাবু ,

(গ) জগদীশবাবু , 

(ঘ) রামবাবু । 

উত্তরঃ (গ) জগদীশবাবু ;

১১. জগদীশবাবু কাঠের খড়মে লাগিয়েছিলেন – 

(ক) হীরের ফুল , 

(খ) সোনার বোল ,

(গ) রুপোর বল , 

(ঘ) সোনার চুমকি ।

উত্তরঃ (খ) সোনার বোল ; 

১২. ” বড়ো মানুষের কান্ডের খবর ” – ‘ বড়ো মানুষ ‘ বলতে বোঝানো হয়েছে – 

(ক) জগদীশবাবুকে , 

(খ) নিমাইবাবুকে ,

(গ) শ্রীপান্থকে , 

(ঘ) এদের কাউকেই নয় ৷ 

উত্তরঃ (ক) জগদীশবাবুকে ; 

১৩. ‘ সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস ‘ – ভয়ানক দুর্লভ জিনিসটি হল – 

(ক) সন্ন্যাসীর দেখা পাওয়া , 

(খ) সন্ন্যাসীর কমণ্ডলু পাওয়া ,

(গ) সন্ন্যাসীর মতো জীবনযাপন করা , 

(ঘ) সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো পাওয়া ।

উত্তরঃ (ঘ) সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো পাওয়া ; 

১৪. সন্ন্যাসীকে বিদায় দেওয়ার সময় জগদীশবাবু দিয়েছিলেন – 

(ক) পঞ্চাশ টাকার নোট , 

(খ) একশো টাকার নোট ,

(গ) পাঁচশো টাকার নোট , 

(ঘ) হাজার টাকার নোট ।

উত্তরঃ (খ) একশো টাকার নোট ; 

১৫. হরির জীবনে নাটকীয় বৈচিত্র্যের সংযোজন ঘটিয়েছে তার – 

(ক) শখ , 

(গ) উগ্রতা , 

(খ) উদার স্বভাব , 

(ঘ) বাউন্ডুলে ভাব । 

উত্তরঃ (ঘ) বাউণ্‌ডুলে ভাব ; 

১৬. ‘ একটা আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল ।’- কখন হল্লা বেজে উঠেছিল ?

(ক) সকালবেলা , 

(খ) বিকেলবেলা ,

(গ) দুপুরবেলা , 

(ঘ) সন্ধ্যাবেলা ।

উত্তরঃ (গ) দুপুরবেলা ; 

১৭. ‘ খুব হয়েছে হরি , এই বার সরে পড়ো । অন্যদিকে যাও ।’- একথা বলেছে- 

(ক) ভবতোষ , 

(খ) অনাদি ,

(গ) কাশীনাথ , 

(ঘ) জনৈক বাসযাত্রী ।

উত্তরঃ (গ) কাশীনাথ ; 

১৮. ‘ ছদ্মবেশে সেদিন হরিদার রোজগার মন্দ হয়নি । ‘ কীসের ছদ্মবেশ ? 

(ক) বাইজি , 

(খ) পুলিশ ,

(গ) পাগল , 

(ঘ) ভিখারি ।

উত্তরঃ (ক) বাইজি ; 

১৯. বাইজির ছদ্মবেশে হরিদার রোজগার হয় – 

(ক) আট টাকা দশ আনা , 

(খ) আট টাকা আট আনা ,

(গ) দশ টাকা চার আনা , 

(ঘ) দশ টাকা দশ আনা ।

উত্তরঃ (ক) আট টাকা দশ আনা ; 

২০. হরিদা পুলিশ সেজে দয়ালবাবুর লিচু বাগানের ভিতর স্কুলের ক’টি ছেলেকে ধরেছিলেন ? 

(ক) তিন জনকে , 

(খ) চার জনকে , 

(গ) পাঁচ জনকে ,

(ঘ) ছয় জনকে । 

উত্তরঃ (খ) চার জনকে ; 

১. পুলিশ সেজে হরিদা কী করেছিল ? 

উত্তরঃ ‘ বহুরূপী ‘ গল্প অনুসারে হরিদা একবার পুলিশ সেজে দয়ালবাবুর লিচু বাগানের ভিতরে স্কুলের চারটে ছেলেকে ধরেছিলেন । তারপর স্কুলের মাস্টারমশাই এসে ক্ষমা চেয়ে আট আনা ঘুষ দেওয়ায় নকল পলিশ হরিদা তাদের ছেড়ে দেন ।

২. হরিদার জীবন এইরকম বহু রূপের খেলা দেখিয়েই একরকম চলে যাচ্ছে । কীরকম খেলা দেখিয়ে হরিদার জীবন চলে যাচ্ছে ? 

উত্তরঃ হরিদা পেশায় ছিলেন বহুরূপী । তিনি কখনও পাগল সাজতেন , কখনও বাউল , কখনও কাপালিক , আর কখনো – বা বোঁচকা কাঁধে কাবুলিওয়ালা । এইরকম বহুরূপীর খেলা দেখিয়ে হরিদার জীবন চলে যাচ্ছে । 

৩. ‘ সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস – সেই বস্তুটিকে দুর্লভ বলার কারণ কী ? 

উত্তরঃ সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী গল্পের সন্ন্যাসী , জগদীশবাবু ছাড়া আর কাউকেই পায়ের ধুলো নিতে দেননি । তাই সেই বস্তুটিকে দুর্লভ বলা হয়েছে । 

৪. হরিদা কোথায় থাকেন ? 

উত্তরঃ ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা শহরের সবচেয়ে সরু গলির ভিতরে একটি ছোট্ট ঘরে থাকেন । ৫. ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের হরিদা কোন সাজ সেজে সবচেয়ে বেশি আয় করেছিলেন ? 

উত্তরঃ ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা রূপসি বাইজি সেজে সবচেয়ে বেশি ; মোট আট টাকা দশ আনা রোজগার করেছিলেন । 

৬. ‘ সত্যিই যে বিশ্বাস করতে পারছি না ‘ কী বিশ্বাস করতে পারছে না ? 

উত্তরঃ ‘ বহুরূপী ‘ গল্প অনুসারে জগদীশবাবুর বাড়িতে বিরাগী – রূপী হরিদাকে দেখে লেখকের সত্যিই বিশ্বাস হয় না যে , এই ব্যক্তিটি আসলে হরিদা । 

৭. জগদীশবাবু তীর্থ ভ্রমণের জন্য কত টাকা বিরাগীকে দিতে চেয়েছিলেন ? 

উত্তরঃ সুবোধ ঘোষের বহুরূপী গল্প অনুসারে জগদীশবাবু বিরাগী – রূপী হরিদাকে তীর্থ ভ্রমণের জন্য একশো এক টাকা দিতে চেয়েছিলেন ।

৮. হরিদার কাছে লেখক ও তাঁর বন্ধুরা কী গল্প করেছিলেন ? 

উত্তরঃ হিমালয়ের এক উঁচুদরের সন্ন্যাসী জগদীশবাবুর বাড়িতে সাত দিন ছিলেন । তাঁর বয়স হাজার বছরেরও বেশি । তিনি বছরে একটি মাত্র হরীতকী খান । সেই গল্পই লেখক ও তাঁর বন্ধুরা করেছিলেন । 

৯. ‘ গল্প শুনে খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন হরিদা । – হরিদার গম্ভীর হওয়ার কারণ কী ? 

উত্তরঃ সর্বস্বত্যাগী সন্ন্যাসী সোনার বোল লাগানো কাঠের খড়ম ও একশো এক টাকা পেয়ে তৃপ্তির হাসি হাসেন । এ কথা শুনে হরিদার বিশ্বাস টলে যায় । তিনি গম্ভীর হয়ে যান । 

১০. চকের বাসস্ট্যান্ডে বহুরূপী হরিদা কী রূপে হাজির হয় ? 

উত্তরঃ কটকটে লাল চোখ , মুখ থেকে লালা ঝরছে , কোমরে ছেঁড়া কম্বল , গলায় টিনের কৌটোর মালা ঝোলানো এক পাগলের ছদ্মবেশে চকের বাসস্ট্যান্ডে হাজির হন হরিদা । 

১১. এবারের মতো মাপ করে দিন ওদের ।’- এ কথা কে , কাকে বলেছিলেন ? 

উত্তরঃ সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী গল্পে দয়ালবাবুর লিচু বাগানে যখন পুলিশের ছদ্মবেশে হরিদা স্কুলের চারটে ছেলেকে ধরেছিলেন , তখন স্কুলের মাস্টারমশাই এ কথা বলেছিলেন । 

১২. ‘ বড়ো চমৎকার আজকে এই সন্ধ্যার চেহারা । ‘ সন্ধ্যার চেহারাটির বর্ণনা দাও । 

উত্তরঃ সেই সন্ধ্যায় চাঁদের আলোর একটা স্নিগ্ধ ও শান্ত উজ্জ্বলতা ছদ্মবেশে চারদিকে ফুটে উঠেছিল । ফুরফুর করে বাতাস বইছিল । জগদীশবাবুর বাগানের গাছের পাতাগুলো ঝিরঝির শব্দ করছিল । 

১৩. ‘ চমকে উঠলেন জগদীশবাবু । ‘ – জগদীশবাবুর চমকে ওঠার কারণ কী ? 

উত্তরঃ আদুড় গায়ে , সাদা উত্তরীয় জড়ানো , ছোটো সাদা থান , মাথায় সাদা চুল , পায়ে ধুলো মাখা বিরাগীকে দেখে জগদীশবাবু চমকে উঠলেন । 

১৪. ‘ আপনি কি ভগবানের চেয়েও বড়ো ? ‘ কথাটি বক্তা কেন বলেছেন ? 

উত্তরঃ বিরাগীর ছদ্মবেশে হরিদা জগদীশবাবুর বাড়িতে এলে জগদীশবাবু বিরাগীকে দূর থেকে অভ্যর্থনা জানান । এর পরিপ্রেক্ষিতেই বিরাগী উক্ত মন্তব্যটি করেছেন । 

১৫. ‘ না না , হরিদা নয় । হতেই পারে না । ‘ বক্তা ও তার সঙ্গীদের এই বিশ্বাসের কারণ কী ? 

উত্তরঃ বিরাগীর গলার স্বর , মুখের ভাষা ও চোখের দৃষ্টির সঙ্গে হরিদার কোনো মিল না – থাকায় বিরাগীকে বক্তা ও তার বন্ধুদের হরিদা বলে মনে হয়নি । 

১৬. জগদীশবাবুকে বিরাগী কী উপদেশ দেন ? 

উত্তরঃ বিরাগী জগদীশবাবুকে বলেন , ধন – জন – যৌবন আসলে মোহময় বঞ্চনা । মন – প্রাণ দিয়ে একজনের আপন হতে চেষ্টা করলে সৃষ্টির সব ঐশ্বর্যই লাভ করা যায় | 

১৭. ” তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায় । ‘ বক্তা কোন প্রসঙ্গে উক্তিটি করেছেন ? 

উত্তরঃ এক্ষেত্রে বক্তা হলেন হরিদা । জগদীশবাবু বিরাগী বেশি হরিদাকে প্রণামী দিতে গেলে তিনি তা নেন না । কারণ সে বিরাগীর ছদ্মবেশে টাকা নিলে তাতে অভিনয়ের ঢং নষ্ট হয় । 

১৮. নইলে আমি শান্তি পাবো না – বক্তা কী না হলে শান্তি পাবেন না ? 

উত্তরঃ সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী গল্পে জগদীশবাবু বিরাগীর বেশধারী হরিদাকে কিছু উপদেশ শুনিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে বলেছিলেন যে , না হলে তিনি শাস্তি পাবেন না । 

১৯. ‘ কিন্তু সেটাই যে হরিদার জীবনের পেশা । ‘ হরিদার পেশা কী ছিল ? 

উত্তরঃ সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের নায়ক হরিদা মাঝে মাঝে বহুরূপী সেজে সামান্য রোজগার করে ভাতের হাঁড়ির দাবি মিটিয়ে দিতে চেষ্টা করেন । এটাই তার পেশা । 

২০. ‘ চমৎকার পাগল সাজতে পেরেছে তো লোকটা । ‘ ‘ লোকটা ‘ কে ? 

উত্তরঃ প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশে ‘ লোকটা ‘ বলতে সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের নায়ক হরিদাকে বোঝানো হয়েছে । 

১. ‘ বাঃ , এ তো বেশ মজার ব্যাপার ! —কোন ঘটনাকে মজার ব্যাপার বলা হয়েছে ? ঘটনাটি মজার কেন ?

উত্তরঃ ‘ বহুরূপী ‘ গল্প অনুসারে জগদীশবাবুর বাড়িতে হিমালয় থেকে যে সন্ন্যাসী এসেছিলেন , তিনি এতই উঁচু দরের যে , কাউকে পদধূলি গ্রহণের ঘটনার পরিচয় অনুমতি পর্যন্ত দিতেন না । শেষপর্যন্ত জগদীশবাবু তাঁর কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে পায়ের সামনে ধরলে সন্ন্যাসী পা এগিয়ে দিয়েছিলেন । এভাবে একমাত্র জগদীশবাবুই তাঁর পদধূলি পেতে সক্ষম হয়েছিলেন । 

  মুখ্য চরিত্র হরিদার মতে , ঘটনাটি মজার । কারণ , সর্বস্বত্যাগী হিমালয়বাসী সন্ন্যাসী ও সোনার আকর্ষণ অগ্রাহ্য করতে পারেননি । 

২. ঘটনাটি মজার কেন ‘ কিন্তু কাজ করতে হরিদার প্রাণের মধ্যেই যেন একটা বাধা আছে ? — কোন কাজের কথা বলা হয়েছে ? ‘ হরিদার প্রাণের মধ্যেই যেন একটা বাধা আছে ? —বাক্যটির অর্থ পরিস্ফুট করো ।

উত্তরঃ ‘ বহুরূপী ’ গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশে ‘ কাজ ‘ বলতে যে – কোনো নিয়মমাফিক ঘড়িধরা সময়ের চাকরির কথা বলা হয়েছে । হরিদা নিজের খুশিমতো বহুরূপী সাজেন ; যখন ইচ্ছা , যেদিন ইচ্ছা । প্রশ্নোদৃত বাক্যের কিন্তু যে কাজে বাধ্যবাধকতা রয়েছে , সে – কাজ অর্থ পরিস্ফুটন করার মতো মানসিকতা তাঁর নেই । তিনি মুক্ত পুরুষ । সংসারে যেমন তাঁর কোনো বন্ধন নেই , তেমনি আর্থিক বন্ধনেও জড়িয়ে পড়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় । হরিদার শিল্পীস্বভাব এবং অন্তর্মনের বৈরাগ্যই এর প্রধান কারণ ।

৩. ‘ হরিদার জীবনে সত্যিই একটা নাটকীয় বৈচিত্র্য আছে ? —জীবনে নাটকীয় বৈচিত্র্য বলতে কী বোঝ ? হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্যটি কী ?

উত্তরঃ ‘ নাটকীয় ‘ শব্দটির অর্থ হল যা নাটকের মতো , অর্থাৎ ঘটনাবহুল বৈচিত্র্যময় দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে মানুষের জীবনে । নাটকীয় বৈচিত্র্য নাটকীয়তা থাকা একান্তভাবে প্রয়োজন । তবেই জীবন উপভোগ্য হয়ে ওঠে । এখানে সেই ব্যতিক্রমকেই নাটকীয় বৈচিত্র্য বলা হয়েছে । হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্য ছিল তাঁর বৃত্তি অর্থাৎ বহুরূপী সেঙে মানুষকে চমকে দেওয়ার পেশা । এতে তাঁর রোজগার সামান্য হলেও তাঁর জীবনে বৈচিত্রা এনে দেয় এই পেশা ।

৪. ‘ হরিদার কাছে আমরাই গল্প করে বললাম , – হরিদা কে ? তাঁর কাছে বক্তা কী গল্প করেছিল ?

উত্তরঃ সুবোধ ঘোষ রচিত ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের মুখ্য চরিত্র হল হরিদা । হরিদার পরিচয় তিনি পেশায় একজন বহুরূপী । তাঁর জীবনে অনেক অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজের পেশার প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল ছিল ।

  বক্তা ও তাঁর বন্ধুরা হরিদাকে জগদীশবাবুর বাড়িতে আসা সন্ন্যাসীর কথা জানিয়েছিলেন । হিমালয় থেকে আসা সেই সন্ন্যাসী সারাবছরে শুধু একটা হরীতকী খান । সন্ন্যাসী হলেও তিনি জগদীশবাবুর কাছ থেকে সোনার বোল লাগানো কাঠের খড়ম ও একশো এক টাকা দক্ষিণা গ্রহণ করেছিলেন । 

৫. ‘ খুব উঁচু দরের সন্ন্যাসী । — সন্ন্যাসীর পরিচয় দাও ।  

উত্তরঃ সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্পে আমরা এক সন্ন্যাসীর পরিচয় পাই । পাড়ার ধনী ব্যক্তি জগদীশবাবুর বাড়িতে সেই সন্ন্যাসী সাত দিন ছিলেন । তিনি সন্ন্যাসীর পরিচয় হিমালয়ের গুহায় থাকতেন । তাঁর সারাবছরের খাদ্য একটি মাত্র হরীতকী , বয়স হাজারেরও বেশি । তাঁর পদধুলি দুর্লভ , জগদীশবাবু ছাড়া কেউ পাননি । তবে এহেন সর্বস্বত্যাগীর প্রকৃত স্বরূপ বোঝা যায় তখন , যখন জগদীশবাবুর দেওয়া সোনার বোল লাগানো কাঠের খড়ম ও একশো টাকার নোট সানন্দ চিত্তে গ্রহণ করেন । 

১. ‘ বহুরূপী ‘ গল্পে জগদীশবাবুর চরিত্রটি ব্যাখ্যা করো। 

উত্তরঃ ‘ সুবোধ ঘোষ রচিত ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের একটি পার্শ্বচরিত্র হল জগদীশবাবুর চরিত্রটি । চরিত্রটি সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না । তার মধ্যেও যেটুকু জানা যায় , তা হল , জগদীশবাবু বয়স্ক মানুষ । তাঁর সাদা চুল , সাদা দাড়ি , সৌম্য , শান্ত চেহারা । তিনি ধনী হলেও কৃপণ । পাড়ার ছেলেদের নানা আবদারে চাঁদা দিয়ে থাকেন । জগদীশবাবুর দুর্বলতম স্থান হল তাঁর মনের অন্ধভক্তি । সুখ ও শান্তির সন্ধানে তিনি সন্ন্যাসী গোছের লোক দেখলেই তাকে খুশি করার চেষ্টা করেন ; তা সে কাঠের খড়মে সোনার বোল পরিয়েই হোক বা একশো টাকা প্রণামী দিয়েই হোক । তাঁর এই মানসিকতার জন্যই ভণ্ড সন্ন্যাসীর পাল্লায় পড়ে তাঁকে বোকা বনতেও হয় , যদিও তিনি নিজে তা বোঝেন না । এই স্বভাবটিকে ভরসা করেই হরি বহুরূপীও তাঁকে বিরাগী সন্ন্যাসীর দর্শন করিয়ে দেয় । ধনী হওয়া সত্ত্বেও সন্ন্যাসীর কাছে মাথা নত করেছেন জগদীশবাবু । প্রকৃত সত্য না জেনে হরির কাছে বোকা বনলেও জগদীশবাবুর শ্রদ্ধাভক্তি ছিল খাঁটি । 

২. আজ তোমাদের একট জবর খেলা দেখাব । বক্তার এই জবর খেলা দেখানোর উদ্দেশ্য কী ছিল ? শেষপর্যন্ত এই খেলার পরিণতিই বা কী হয়েছিল ? 

উত্তরঃ সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্প থেকে উপরের উদ্ধৃতিটি নেওয়া । পাঠ্য কাহিনি অনুসারে গ্রামের বিখ্যাত ধনী , জনৈক জগদীশবাবুর বাড়িতে হিমালয়ের গুহা থেকে এক উঁচু দরের সন্ন্যাসীর আগমন ঘটে । বহুরূপী হরিদা পাড়ার ছেলেদের কাছ থেকে তাঁর সম্পর্কে বিভিন্ন ঘটনা শুনে টের পান যে , তিনি প্রকৃত সন্ন্যাসী নন । সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীর প্রকৃত স্বরূপ কেমন হওয়া উচিত তা বোঝাতেই , এরপর হরিদা বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা করেন । 

   বিরাগীর ছদ্মবেশে হরিদা সকলকে বিস্মিত করেছিলেন । জ্যোৎস্নালোকিত রাতের স্নিগ্ধ পরিবেশে তাঁর আদুড় গায়ের ওপর সাদা উত্তরীয় এবং পরনে ছোটো বহরের থান আর হাওয়ায় উড়তে থাকা চুল ও কাঁধে ঝোলার মধ্যে থাকা গীতা— সব মিলিয়ে মনে হয়েছিল যেন তিনি জগতের সীমার ওপার থেকে হেঁটে এসেছেন । হরিদার চোখের উদাত্ত উজ্জ্বল দৃষ্টি – কণ্ঠস্বর ও মুখের ভাষায় : জগদীশবাবুর হৃদয় করুণাময় সজল হয়ে উঠেছিল । তিনি এই সর্বত্যাগী বিরাগীকে তুষ্ট করতে তীর্থভ্রমণের অজুহাতে প্রণামী হিসেবে একশো এক টাকা নিবেদন করেন । কিন্তু বহুরূপী হরিদার অন্তরের বৈরাগ্য এবং নিজ শিল্পের প্রতি আন্তরিক সততার কারণে তিনি , সেই টাকার থলি হেলায় ফেলে দিয়ে চলে আসেন । তাতে যে তার ঢং নষ্ট হয়ে যেত । তবে সত্যিকারের বিরাগী সন্ন্যাসী দর্শন করানোর জন্য জগদীশবাবুর কাছ থেকে সামান্য বকশিশ আদায়ের দাবিটুকুকেই হরিদা , পাথেয় বলে স্থির করেছিলেন ।

৩. ‘ বহুরূপীর জীবনের যে মর্মান্তিক বেদনার কথা ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের মাধ্যমে বোঝাতে চাওয়া হয়েছে তা নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা করো । অথবা , খাঁটি মানুষ তো নয় , এই বহুরূপীর জীবন এর বেশি কী আশা করতে পারে ? ‘ — বহুরূপী জীবনের এই ট্র্যাজেডি পাঠ্য ‘ বহুরূপী ‘ গল্প অবলম্বনে আলোচনা করো । 

উত্তরঃ সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা এক আশ্চর্য মানুষ । তিনি গরিব হলেও কেবল পেটের দায়ে গতে বাঁধা কাজ করতে চান না । নির্লোভ , চিন্তাশীল , স্বাধীনচেতা ও শিল্পীমনের অধিকারী হরিদা , দৈনন্দিন অভাবের সঙ্গে অভ্যস্ত হলেও কাজ নামক দিনগত পাপক্ষয়ের থেকে শতহাত দূরে থাকতেই ভালোবাসেন । তাঁর জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্য হল , তিনি বহুরূপের কারবারী । মাঝে মাঝে তাঁকে কেমন উপোস করে কাটাতে হয় , তেমনই হঠাৎ একদিন তিনি বিচিত্র ছদ্মবেশে অপরূপ হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন । কখনও পাগল সেজে হরিদা চকের বাস স্ট্যান্ডের কাছে আতঙ্কের হল্লা তোলেন , আবার কখনও সন্ধ্যার মায়াময় আলোয় রূপসি বাইজি সেজে উপস্থিত সকলকে স্তম্ভিত করে দেন । নিজের পেশায় হরিদা এতটাই পারদর্শী যে স্থানীয় স্কুলের মাস্টারমশাইও তাঁকে নকল – পুলিশ বলে চিনতেই পারেন না । এ হেন হরিদা পাড়ার ছেলেদের মুখে জগদীশবাবুর বাড়িতে আসা ভণ্ড সন্ন্যাসীর গল্প শুনে , তাদের সত্যিকারের বিরাগী সন্ন্যাসী দর্শন করানোর কথা ভাবেন । সেই চন্দ্রালোকিত রাতে জগদীশবাবুর বাড়িতে হাজির হয় এক অন্য হরিদা । সে সাজহীন – অলংকারহীন এক সামান্য বিরাগী । তবে তাঁর আচরণ , মুখের ভাষা , তত্ত্বজ্ঞান এবং উদাত্ত – উজ্জ্বল চোখের দৃষ্টি সবাইকে মুগ্ধ ও উদ্বেল করে তোলে । প্রকৃত সন্ন্যাসীর মতোই জগদীশবাবুর দেওয়া একশো এক টাকা তিনি হেলায় ফেলে দিয়ে চলে আসেন । কারণ প্রকৃত বৈরাগ্যের অধিকারী হরিদার কাছে তখন শিল্প ও জীবন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় । আসলে তিনি শুধু নিছক বহুরূপের কারবারীমাত্র নন , সততা – শিল্পীস্বভাব ও জীবনদর্শনে একজন অসামান্য মানুষ । কিন্তু সমাজে সামান্য হরি বহুরূপীর মধ্যে লুকিয়ে থাকা এমন দেবতাসুলভ অসামান্যতা কোনোদিন তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা পায় না । জীবনের এই মর্মান্তিক বেদনা – যন্ত্রণা ও ট্র্যাজেডিকে মেনে নিয়েই , তাই নির্লিপ্তভাবে তিনি কেবল বকশিশটুকুই ন আশা করেন । 

৪. জগদীশবাবুর বাড়ি হরিদা বিরাগী সেজে যাওয়ার পর যে ঘটনা ঘটেছিল তা বর্ণনা করো । 

উত্তরঃ সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্প অনুসারে এক স্নিগ্ধ ও শাস্ত জ্যোৎস্নালোকিত উজ্জ্বল সন্ধ্যায় জগদীশবাবু বারান্দার চেয়ারে বসেছিলেন । হঠাৎ বারান্দার সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন । কারণ সিঁড়ির কাছে এমন একজন দাঁড়িয়েছিলেন যিনি জটাজুটধারী , হাতে কমণ্ডলু , চিমটে , মৃগচর্মের আসন – সহ গৈরিক বসন পরিহিত কোনো সন্ন্যাসী নয় , তিনি একজন বিরাগী , যার আদুড় গা , তার উপরে একটি ধবধবে সাদা উত্তরীয় । পরনে ছোটো বহরের থান । তার শীর্ণ শরীর দেখে মনে হচ্ছিল যেন অশরীরী এবং তাঁর চোখ থেকে ঝরে পড়ছিল উদাত্ত শান্ত এক উজ্জ্বল দৃষ্টি । ভক্তের সেবার ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়ে গ্রহণ করেছেন মাত্র এক গ্লাস জল । থাকার ও দান গ্রহণের অনুরোধ সবই নির্দ্বিধায় ত্যাগ করেছেন তিনি । জগদীশবাবু উপদেশ শুনতে চাইলে তিনি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই বলেছেন পরমেশ্বরের দেখা পেলেই সমস্ত ঐশ্বর্য পাওয়া যায় । তাঁকে তীর্থ ভ্রমণের অজুহাতে প্রণামী দিতে চাইলে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য তিনি বলেন হৃদয়ের মধ্যেই তো সব তীর্থ । বিরাগী চরিত্রটি পূর্ণতা পায় তারই উক্তিতে , ” আমি যেমন অনায়াসে ধুলো মাড়িয়ে চলে যেতে পারি , তেমনই অনায়াসে সোনাও মাড়িয়ে চলে যেতে পারি । ” সত্যিই তা করতে জগদীশবাবুর দেওয়া প্রণামীর টাকার থলিটা সিঁড়িতে পড়ে থাকলেও সেদিকে না তাকিয়ে তিনি চলে যান ।

৫. “ চমকে উঠলেন জগদীশবাবু । – জগদীশবাবুর পরিচয় দাও । তার চমকে ওঠার কারণ আলোচনা করো । 

উত্তরঃ সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্পে জগদীশবাবু একটি পার্শ্বচরিত্র । তিনি শিক্ষিত , মার্জিত ও ভদ্র , সৌম্য – শান্ত চেহারার অধিকারী , ধনী হলেও কৃপণ । তাঁর জীবনের দুর্বলতা হল তাঁর অন্ধভক্তি । সুখ – শান্তির আশায় সাধু – সন্ন্যাসী দেখলেই তাদের তিনি তুষ্ট করার চেষ্টা করতেন । এর জন্য অবশ্য তিনি মাঝেমধ্যেই ঠকেছেন । 

  এক স্নিগ্ধ ও শান্ত জ্যোৎস্নালোকিত উজ্জ্বল সন্ধ্যায় জগদীশবাবু বারান্দার চেয়ারে বসেছিলেন । হঠাৎ বারান্দার সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন । তাঁর চোখের পাতা পড়ছিল না । কারণ সিঁড়ির কাছে এমন একজন দাঁড়িয়েছিলেন যিনি জটাজুটধারী , হাতে কমণ্ডলু , চিমটে , মৃগচর্মের আসন – সহ গৈরিক বসন পরিহিত কোনো সন্ন্যাসী নয় , তিনি একজন বিরাগী , যার আদুড় গা , তার ওপরে একটি ধবধবে সাদা উত্তরীয় । পরনে ছোটো বহরের খান । তার মাথার শুকনো চুলগুলো বাতাসে উড়ছে , হাত পা ধুলো মাখা , কাঁধে একটা ঝোলা , যার মধ্যে একটি মাত্র বই গীতা । জগদীশবাবুর তাঁকে দেখে মনে হয়েছিল তিনি যেন জগতের সীমার ওপার থেকে হেঁটে চলে এসেছেন । তার শীর্ণশরীর দেখে মনে হচ্ছিল যেন অশরীরী এবং তাঁর চোখ থেকে ঝরে পড়ছিল উদাত্ত শান্ত এক উজ্জ্বল দৃষ্টি । 

৬. ‘ তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যাবে । – বক্তা কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন ? এই উক্তির আলোকে বক্তার চরিত্র বিশ্লেষণ করো । 

উত্তরঃ উদ্ধৃতিটি সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্প থেকে গৃহীত । বক্তা হলেন গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র বহুরূপী হরিদা । হরিদা জগদীশবাবুর বাড়িতে বিরাগীর ছদ্মবেশে খেলা দেখাতে গিয়ে প্রণামীর টাকা না নিয়ে ফিরে এসেছিল । অবাক গল্পের কথক ও তার বন্ধু অনাদি , ভবতোষরা অভাবী হরিদাকে টাকা না নেওয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে , হরিদা অভিনয়ের প্রতি শ্রদ্ধা এবং একজন আদর্শ শিল্পীর মর্যাদার প্রসঙ্গ তুলে কথাটি বলেছেন ।

হরিদা শুধুমাত্র পেশাগত জীবনে বহুরূপী নয় , তার ব্যক্তিগত জীবনও নাটকীয় বৈচিত্র্যে ভরা । আপাতদৃষ্টিতে সমাজে অবহেলিত এই পেশায় নিযুক্ত মানুষের মধ্যেও যে সততা , নিষ্ঠা , শ্রদ্ধার মতো গুণগুলি বেঁচে আছে তা লেখক দেখাতে চেয়েছেন এই গল্পে । অভাব হরিদার নিত্যসঙ্গী । হরিদা কিন্তু সেই অভাবকে দূরে সরিয়ে দিতে গতে বাঁধা জীবনের পথে পা বাড়ায়নি । এসব সম্ভব হয় একমাত্র তার নির্লোভ ও সংযমী জীবনযাপনের জন্যই । তাই জগদীশবাবুর বাড়িতে বিরাগীর ছদ্মবেশে খেলা দেখাতে গিয়ে অভাবী হরিদা তার দেওয়া সমস্ত সুযোগ প্রত্যাখ্যান করে । কথক ও তার বন্ধুরা যখন অভাবী হরিদাকে প্রণামী না নেওয়ার জন্য কাঠগড়ায় তুলেছে , হরিদা তখন শিল্প ও শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নির্লিপ্তভাবে বলেছেন , ” তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যাবে । ” 

৭. ‘ আমি বিরাগী , রাগ নামে কোনো রিপু আমার নেই । -বক্তা কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন ? এই উক্তির প্রেক্ষিতে বক্তার চরিত্র গল্পে যেভাবে বর্ণিত হয়েছে তা আলোচনা করো । 

উত্তরঃ প্রখ্যাত সাহিত্যিক সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্পে উদ্‌ধৃত অংশটির বক্তা হলেন ছদ্মবেশী বিরাগী । হরিদা যখন বিরাগীর ছদ্মবেশে জগদীশবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন , জগদীশবাবু তখন এগিয়ে এসে তাঁকে অভ্যর্থনা না জানালে বিরাগী রুষ্ট হন । ভয় পেয়ে জগদীশবাবু অপরাধ স্বীকার করে নেন এবং বিরাগীকে অনুরোধ করেন তার ওপর রাগ না করার জন্য । ছদ্মবেশী বিরাগী এই প্রসঙ্গেই উক্তিটি করেছেন । সন্ন্যাসীর চরিত্র প্রকৃতপক্ষে কেমন হওয়া উচিত এ কথা পাঠকদের বোঝাতেই লেখক যেন চরিত্রটি সৃষ্টি করেছেন । জগদীশবাবুর বাড়িতে হিমালয় থেকে আসা সন্ন্যাসীর পাশাপাশি বিরাগীর চরিত্রটি রাখলে তা সহজেই অনুমান করা যায় । বিরাগী প্রথমে জগদীশবাবুর অহংকারে আঘাত করেছেন , তাকে অপরাধ স্বীকার করিয়েছেন । আবার সত্যিকার বিরাগীর মতো তাকে ক্ষমাও করেছেন । ভক্তের সেবার ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়ে গ্রহণ করেছেন মাত্র এক গ্লাস জল । থাকার ও দান গ্রহণের অনুরোধ সবই নির্দ্বিধায় ত্যাগ করেছেন তিনি । জগদীশবাবু উপদেশ শুনতে চাইলে তিনি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই বলেছেন পরমেশ্বরের দেখা পেলেই সমস্ত ঐশ্বর্য পাওয়া যায় । তাঁকে তীর্থ ভ্রমণের অজুহাতে প্রণামী দিতে চাইলে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য তিনি বলেন হৃদয়ের মধ্যেই তো সব তীর্থ । বিরাগী চরিত্রটি পূর্ণতা পায় তারই উক্তিতে , “ আমি যেমন আনায়াসে ধুলো মাড়িয়ে চলে যেতে পারি , তেমনি সোনাও মাড়িয়ে চলে যেতে পারি । ” সত্যিই তা করতে জগদীশবাবুর দেওয়া প্রণামীর টাকার থলিটা সিঁড়িতে পড়ে থাকলেও সেদিকে না তাকিয়ে তিনি চলে যান । 

Madhyamik Suggestion | মাধ্যমিক সাজেশন

আরো পড়ুন:-

Madhyamik Bengali Suggestion Click here

আরো পড়ুন:-

Madhyamik English Suggestion Click here

আরো পড়ুন:-

Madhyamik Geography Suggestion Click here

আরো পড়ুন:-

Madhyamik History Suggestion Click here

আরো পড়ুন:-

Madhyamik Life Science Suggestion Click here

আরো পড়ুন:-

Madhyamik Mathematics Suggestion Click here

আরো পড়ুন:-

Madhyamik Physical Science Suggestion Click here

আরো পড়ুন:-

Madhyamik Suggestion Click here

West Bengal class 10th Bengali Board Exam details info

West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Madhyamik Exam Bengali Suggestion download for Bengali subject. West Bengal Board of Secondary Education will organise this Examination all over West Bengal. Students who are currently studying in Class 10th, will sit for their first Board Exam Madhyamik. WBBSE Madhyamik Bengali question paper download.

Madhyamik Bengali Syllabus

West Bengal Madhyamik Bengali Syllabus with all the important chapters and marks distribution. Download the Madhyamik Bengali Syllabus and Question Paper. Questions on the Bengali exam will come from these chapters. All the chapters are equally important, so read them carefully.

Madhyamik Bengali Syllabus Download Click Here

Madhyamik Bengali Question Paper Marks Details

The total marks for This Madhyamik Bengali Examination will be 100, out of which 90 marks for the written exam and 10 marks for viva voce. The question pattern and Marks distribution of the Madhyamik Bengali question paper are given below.

Madhyamik Question Pattern Mark Details Click Here

বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Bahurupi Suggestion 

বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Bahurupi Suggestion : বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Class 10 Bengali Bahurupi Suggestion – বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা | Madhyamik Bengali Bahurupi Suggestion উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

West Bengal WBBSE Madhyamik Class 10 Bengali Bahurupi Suggestion | বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা 

West Bengal WBBSE Madhyamik Class 10 Bengali Bahurupi Suggestion | বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক বাংলা : Madhyamik Bengali Bahurupi Suggestion Question and Answer | বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal WBBSE Madhyamik Class 10 Bengali Bahurupi Suggestion | বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

Madhyamik Bengali Bahurupi  Question and Answer | বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর 

Madhyamik Bengali Question and Answer | বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর : Madhyamik Bengali Question and Answer | বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – Madhyamik Bengali Question and Answer | বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর গুলো উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Bahurupi Suggestion 

  এই “বহুরুপী গল্প (সুবোধ ঘোষ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Bahurupi Suggestion” পোস্টটি থেকে যদি আপনার লাভ হয় তাহলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী সমস্ত শ্রেণীর প্রতিটি অধ্যায় অনুশীলন, বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার গাইডেন্স ও চারীর খবর বা শিক্ষামূলক খবর জানতে  আমাদের এই  Porasuna.in ওয়েবসাইটি দেখুন, ধন্যবাদ।